চারিদিকে হৈচৈ, কারো কথা কারো শোনার সময় কোথায়! আজ যে, প্রেস কনফারেন্স।
এবারের বিষয় ছিল 'হেফাজতে ইসলাম' এর-ই পরিপ্রেক্ষিতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির আয়োজন করা হয়েছে আজ। চারিদিকে হৈচৈ হচ্ছে এর-ই সূত্র ধরে।
সাংবাদিকরা সবাই প্রস্তুত। এখনই তার ডকুমেন্টারি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হবে।
প্রথম প্রশ্নটি করে সাংবাদিক বললো: আচ্ছা স্যার হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
জেম হেরিস বলা শুরু করলো, একেবারে শুরু থেকেই। ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলামের সূচনা হয়। মুসলিম ধর্মগুরুরা মিলেই এর সূচনা করেন। এর মূল লক্ষ্য ছিল কোরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় রীতিনীতি রক্ষাণাবেক্ষণ। পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী সমস্তকিছু রুখে দেয়া।
হেফাজতে ইসলাম প্রথম সবার নজর কাড়ে ৫ এ মে ২০১৩। তাদের সেদিনের সমাবেশে এত পরিমাণ লোক সমবেত হয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। জেম হেরিসকে থামিয়ে দিয়ে আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলো: এই সমাবেশ হওয়ার কারণ কী ছিল স্যার?
তিনি আবারও বলতে লাগলেন: যে লক্ষ্যে তাদের এই সংগঠন,সে কারণেই।
অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কিছু নাস্তিক তাদের ধর্মের নবীকে নিয়ে প্রকাশ্যে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছিল। যা ধর্মপ্রাণ লাখো মুসলমানের অনুভূতিতে চরম আঘাত হানে।
সবকিছুই ঠিক ছিল। সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী তারা সেখানে প্রতিবাদ করছিলো। কিন্তু গভীর রাতে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা যা অভাবনীয়। অকল্পনীয়। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে যা কল্পনা করা যায় না।
খুব কৌতহলি হয়ে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলো: সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল একটু বলবেন?
জেম হেরিস হেসে বললো: মুখের কথার কী ভ্যালু আছে? এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। আপনারা একটু ইনভেস্টিগেট করলে-ই সব না হলেও অনেক তথ্য পাবেন। যা গা শিওরে উঠার জন্য যথেষ্ট।
যাইহোক ব্যথাতুর অনুভূতি নিয়ে যেই প্রতিবাদ তারা জানাতে গেল, তা কিছু মানুষের কাছে হয়ে গেল সহিংসতা আন্দোলন। তার জন্য পোহাতে হলো শীর্ষ নেতা কর্মিদের বহুত জেল-জুলুম।
২০১৩ এর পাট চুকিয়ে হেফাজতে ইসলাম মোটামুটি পরিণত হলো দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী অরাজনৈতিক সংঘটনে। বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যুতে টুকটাক আন্দোলনের মাধ্যমে চালিয়ে যেতে লাগলো নিজেদের কাজ। সরকারের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলো কারো কারো। সে হিসেবে বেশ সমাদরে ছিল হেফাজতে ইসলাম।
কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে সময় লাগলো না। বিভিন্ন কারণে ভালো সম্পর্কে আস্তে আস্তে ফাটল ধরলো। এর চরমরূপ ধারণ করলো ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজতের বিরোধিতায়।
এটুকু বলে তিনি নিজেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন করলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান।
তারা সমস্বরে হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে বললো: নিশ্চয়ই।
ভাস্কর্য ইস্যু মূলত সম্পূর্ণ ইসলামিক বিষয়। ইসলামের দৃষ্টিতে মুর্তি-ভাস্কর্য সব হারাম। এমনটাই মন্তব্য তাদের। আর হেফাজতে ইসলাম যেহেতু ইসলামিক অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কাজ করে তাই আমি মনে করি এ বিষয়ে তাদের দাবি বা আপত্তি সম্পূর্ণ যৌক্তিক ও সাংবিধানিক। এখন সরকার তা মানবে কিনা তা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের ব্যাপার। কিন্তু এর সূত্র ধরে তাদের শত্রু বনে যাওয়া কিম্বা বিচ্ছিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দেয়া কোন রাষ্ট্রের আইন হতে পারে না। হওয়া উচিৎও নয়।
কারণ এখানে শত্রুতার সূত্রপাত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কেননা হেফাজত ভাস্কর্যের বিরোধিতা করেছে সম্পূর্ণ ধর্মীয় কারণে যা তারা একাধিকবার উল্লেখ করেছে। আর রাষ্ট্রপক্ষের কেউ কেউ বিষয়টিকে টেনে নিয়ে গিয়েছে যার ভাস্কর্য করা হবে তার বিরুদ্ধে।
এখানেও হেফাজতের আপত্তি করা বা দাবি জানানোর কার্যক্রমের সাংবিধানিক অধিকারকে আখ্যা দেয়া হলো স্বাধীনতা বিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তির তৎপরতা। হেফাজতের দোষ ছিল ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের জায়গা থেকে ভাস্কর্যের বিপক্ষে কথা বলা। যদিও সাংবিধানিক ভাবে সরকারের যে কোন কাজে পরামর্শ কিংবা সমালোচনা করার অধিকার জণগণ রাখে।
যাইহোক মোটকথা হলো হেফাজত ধর্মের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী, রাষ্ট্র বিরোধী হয়ে গেল।
শেষ ধাক্কাটা খেল হেফাজত আরেকটি সাংবিধানিক অধিকার পালন করতে গিয়ে। 'নিন্দা জানানোর অধিকার' দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আনন্দের দিনে গুজরাটের কসাই ক্ষ্যাত নরেন্দ্র মোদির আগমন মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশের মানুষ। তাদের মধ্যেও ছিল হেফাজত।
কারো আগমনে নিন্দা জানানোটা প্রত্যেকটা দেশেই হয়ে থাকে এটা তাদের অধিকার। পুলিশ প্রটেকশনে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করার অধিকার পায়। কিন্তু বাংলাদেশে এই অধিকার পালন করতে গিয়ে দিতে হয়েছে ২০ টি তাজা প্রাণ। এবং শত শত আহত ব্যক্তির তাজা রক্ত। যেতে হয়েছে কারাগারে। পরিণামে পেয়েছে একগাদা অপবাদ। 'তারা নৈরাজ্যবাদ। তারা দেশের উশৃংখল নাগরিক'। কেননা তারা সংবিধান ফলো করেছে।
সমস্ত সাংবাদিক জেম হেরিসের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তিনি একটু ইমোশনাল হয়ে পড়েছেন। সাংবাদিকরা হয়তো ভাবছে, এও হতে পারে!
জেম হেরিস খেল ফিরিয়ে এনে বলতে লাগলো : এখানেই শেষ নয়। হেফাজতের পক্ষ থেকে মোদির আগমনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো ছাড়া কোন কর্মসূচি এখনো পর্যন্ত আসেনি। কিন্তু এই বিশটি তাজা প্রাণের পক্ষে দাড়ানো এবং প্রতিবাদ করাটা শুধু মুসলিম হিসেবে নয়। বরং মানুষ হিসেবে তাদের আবশ্যক হয়ে গিয়েছিল। না হলে হেফাজত মানব ইতিহাসের কলঙ্কের নাম হয়ে থাকতো।
অথচ আশ্চর্যের হলেও সত্যি যে, সেই আবশ্যক কাজটুকু করতে গিয়েও তারা তাদের সমবেদনা পেল না। পেল ধিক্কার। যথারীতি নৈরাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়ীক, দাঙ্গাবাজ ইত্যাদি অপবাদ। এবং সাংবিধানিক অধিকার থাকা সত্বেও হরতালের এই প্রতিবাদ-ই তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়ালো। যার ফলশ্রুতিতে আজ হেফাজত নেতাদের পোহাতে হচ্ছে লাগামহীন জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার। এবং হেফাজতকে প্রমাণ করছে সাম্প্রদায়িক দেশবিরোধী সংগঠন হিসেবে।
যদিও হেফাজত নেতারা তাদের পূর্বপুরুশদের কথা চিন্তা করে তা নির্বিঘ্নে হজম করছে। মনে মনে সান্তনা পাচ্ছে। কিন্তু দেহে প্রাণ থাকা ও অন্তরে ঈমান থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য তা অত্যন্ত লজ্জাকর। অত্যন্ত লজ্জাকর।
এই কথা বলে জেম হেরিস প্রেস কনফারেন্স আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করলো।
সত্যমনা লেখক-
রবিউল ইসলাম,
সত্যমনা ডট কম।
পাড়ি নাই
উত্তরমুছুনমোঃ রাকিবুল ইসলাম
মুছুন119823
পারিনাই
উত্তরমুছুনযেটা বের করতে চান সেই লিংকগুলো কপি করে গুগলে পেস্ট করলেই কাজ হয়ে যাবে।
মুছুনAse na vai
উত্তরমুছুনযেটা বের করতে চান সেই লিংকগুলো কপি করে গুগলে পেস্ট করলেই কাজ হয়ে যাবে।
মুছুনRejald ber korte partesi na akto ber kore dile valo hoy roll no,,39376
উত্তরমুছুন47914,,,,, 39367
এখন একটু ব্যস্ত আছি। পরে বের করে দিব ইনশাআল্লাহ।
মুছুনমারহালা, রোল ও পুরুষ নাকি মহিলা লিখে যান পরে বের করে দিব ইনশাআল্লাহ।
যারা ব্যক্তিগত রেজাল্ট বের করতে চান। এখন একটু ব্যস্ত আছি। পরে বের করে দিব ইনশাআল্লাহ।
মুছুনমারহালা, রোল ও পুরুষ নাকি মহিলা লিখে যান পরে বের করে দিব ইনশাআল্লাহ।
হিফজ,( রোল১,১২৩১) পুরুষ
উত্তরমুছুনরেজাল্ট পাওয়ার জন্য আমাদের সত্যমনা পেইজে যোগাযোগ করুন।
মুছুনমারহালা:ফযিলত,,,
উত্তরমুছুনরোল নং:6272
মহিলা
পেইজে যোগাযোগ করুন
মুছুনযারা ব্যক্তিগত রেজাল্ট বের করতে চান। এখন একটু ব্যস্ত আছি। পরে বের করে দিব ইনশাআল্লাহ।
উত্তরমুছুনমারহালা, রোল ও পুরুষ নাকি মহিলা লিখে যান পরে বের করে দিব ইনশাআল্লাহ।
ফজিলত মহিলা ৭৭১৬
উত্তরমুছুনপেইজে যোগাযোগ করুন সাথে সাথে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
মুছুনPari nai
উত্তরমুছুন১১২১৫১
উত্তরমুছুনরেজাল্ট জানার জন্য আমাদের সত্যমনা পেইজে নক দিন ।
মুছুনমহিলা ইবতেদা ইয়্যাহ ৪০৭৬৯
উত্তরমুছুনরেজাল্ট জানার জন্য আমাদের সত্যমনা পেইজে নক দিন ।
মুছুনরেজাল্ট জানার জন্য আমাদের সত্যমনা পেইজে নক দিন ।
মুছুনইবতেদায়িয়্যা আসে না কেন
উত্তরমুছুনরেজাল্ট জানার জন্য আমাদের সত্যমনা পেইজে নক দিন ।
মুছুন
মুছুনhttps://drive.google.com/file/d/1Z3D8Nm6LIU5bV7Bo3y6A550fXHsjR5mO/view?usp=sharing
ইবতিদাইয়া পুরুষ-2022
https://drive.google.com/file/d/1QZ9lcJ5NYSNA1BYqBhCuNsF86TztMvdo/view?usp=sharing
ইবতিদাইয়া মহিলা-2022
আমার রিজাল্ডটা কেউ বের করে দেন
উত্তরমুছুনরেজাল্ট জানার জন্য আমাদের সত্যমনা পেইজে নক দিন ।
মুছুনআমার সাথে যোগাযোগ করুন
মুছুনইবতিদাইয়া 24930 মহিলা
উত্তরমুছুনরেজাল্ট জানার জন্য আমাদের সত্যমনা পেইজে নক দিন ।
মুছুনমারহালা, মুতাওয়াসসিতাহ
উত্তরমুছুনরোল নং ২৯৮৯৬
২৯৮৭৮
এই দুইটার নাম্বার বের করে দিলে উপকৃত হতাম।
108451
উত্তরমুছুনরোল নং ১০৮৪৯৬ ইবতেদাইয়্যা
মুছুনইত্তরটা বের করে দিলে উপক্রত হতাম
ইবতেদাইয়া মহিলা কই
উত্তরমুছুন
মুছুনhttps://drive.google.com/file/d/1Z3D8Nm6LIU5bV7Bo3y6A550fXHsjR5mO/view?usp=sharing
ইবতিদাইয়া পুরুষ-2022
https://drive.google.com/file/d/1QZ9lcJ5NYSNA1BYqBhCuNsF86TztMvdo/view?usp=sharing
ইবতিদাইয়া মহিলা-2022
paini ebtedayi result
উত্তরমুছুনভাই আমাকে একটা ব্যক্তিগত রেজাল্ট বের করে দেন প্লিজ,,, রোল ১১৩৮৮৪ ,, শ্রেণী মুতাওসসিতাহ ও পুরুষ 🙏🙏
উত্তরমুছুনপেইজে যোগাযোগ করুন সাথে সাথে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
মুছুনভাই আমার একটা ব্যক্তিগত রেজাল্ট বের করে দেন প্লিজ,, রোল ১১৩৮৮৪ , মুতাওয়াসসিতাহ ,, পুরুষ
উত্তরমুছুনপেইজে যোগাযোগ করুন সাথে সাথে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ
মুছুনIbtediya 23197
উত্তরমুছুনপেইজে যোগাযোগ করুন সাথে সাথে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ
মুছুনIbtedaiya 23197 mohila
উত্তরমুছুনপেইজে যোগাযোগ করুন সাথে সাথে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
মুছুনরোল ২৫৪ মুতাওয়াসসিতাহ মহিলা
উত্তরমুছুনপেইজে যোগাযোগ করুন সাথে সাথে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
মুছুনমাশাল্লাহ।
উত্তরমুছুনমাশাল্লাহ খুব ভালো পোস্ট।
উত্তরমুছুনঅনেক কিছু জানতে পারলাম
উত্তরমুছুনভালো লাগলো পড়ে..
উত্তরমুছুন