গতকালের পোস্টকে ঘিরে এক
নাস্তিকের সাথে কমেন্টে খানিক বিতর্ক করেছিলাম অনেকেই হয়তো দেখেছেন
‘নাস্তিকতা মানে যে আসলেই গোঁড়ামি’ যারা দেখেছেন বুঝতে পারবেন।
‘মানুষের সাপেক্ষে পৃথিবী স্থির’ এই সহজ বিষয়টা আমি ঐ নাছোড়বান্দা কে বুঝাতে পারেনি। পরে বিজ্ঞান বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছিলাম পৃষ্ঠা নাম্বার সহ। [১] মনে করেছিলাম তারা বিজ্ঞান অন্তত মেনে নিবে। কিন্তু না! কালকে ঐ নাস্তিক বিজ্ঞানকেও অস্বীকার করে বসলো। রীতিমতো ঠাট্টা শুরু করলো বিজ্ঞান নিয়ে। কারণ একটাই ছিল- কেন এই বিজ্ঞান কোরআনকে সাপোর্ট করলো!!
অতঃপর দিকবিদিক কুল কিনারা না করতে পেরে সেই আমাদের সাথে সুর মিলিয়ে বলেই বসলো- ‘বিজ্ঞান মিথ্যা হতে পারে। কেননা তা পরিবর্তনশীল।’
এই বাস্তবতাটাই আমরা নাস্তিকদের বুঝাতে চাই কিন্তু কখনো কোন নাস্তিক বুঝতে চায় না। সবসময় তারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনকে নাকচ করতে চায়।
কিন্তু কাল সে এই কথা মানতে বাধ্য হয়েছে। কারণ বিজ্ঞান সরাসরি কোরআনের সত্যতা প্রমাণ করছে, এজন্য।
চিন্তা করে দেখুন, কতটা ‘গোঁড়াটাইপ’ লোক হলে এভাবে সত্য থেকে বিমুখ হয়ে থাকতে পারে। যে বিজ্ঞান কোরআনকে সাপোর্ট করবে সে বিজ্ঞানকেও তারা মানতে নারাজ!!
আবার ফতুয়া দিয়ে বলছে আমরা যেন বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনকে জাজ না করি। এটা নাকি কুফরি! (কেননা এ কারণে যে তাদের পায়জামার ফিতা খুইলা যাচ্ছে)
তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- না ভাই! আমরা জানি ‘বিজ্ঞান মিথ্যা হতে পারে। কেননা তা পরিবর্তনশীল।’ তাই আমরা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআন জাস্টিফাই করি না। বরং কোরআন দিয়ে বিজ্ঞানকে জাস্টিফাই করি।কেননা আমরা জানি, বিজ্ঞান সত্যের সন্ধানে নিয়োজিত। একসময় না একসময় তা সত্যের কাছে পৌঁছায়-ই। চাই ১০ বছর ভুলের মধ্যে থেকে হোক কিংবা ২৫০ বছর।[২] শেষমেশ কোরআনের সাথে-ই একমত হবে। তাই প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের উপর আমাদের ভরষা রয়েছে সবসময়।
সত্যমনা লেখক-
Robiul Islam,
তথ্য সূত্রঃ
[১] ফিজিক্স, নবম দশম শ্রেণি। দ্বিতীয় অধ্যায়। ৩৩ – ৩৪ পৃষ্ঠায়।
[২] সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে।’ বিজ্ঞানী টলেমীর এই ভুল থিওরীটা বিজ্ঞান মহলে ২৫০ বছর টিকে ছিল।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন
COMMENTS