১/ যার অস্তিত্ব দেখা যায় না তাকে কীভাবে মেনে নেই?
২/আল্লাহর অস্তিত্ব কীভাবে প্রমানিত হয়?
প্রথম প্রশ্নটির জবাব- কোনকিছুর অস্তিত্ব প্রমান করতে গিয়ে যদি আমরা শুধুমাত্র দেখার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকি, তাহলে সেটা হবে আমাদের নিছক দাবি।
কেননা পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু আছে যা আমাদের না দেখেই মেনে নিতে হয়, কোনরুপ প্রশ্ন উত্থাপন ছাড়াই।
যেমনঃ বাতাসের অস্তিত্বের সন্ধান পেতে আমাদের তকের সাহায্য নিতে হয়, চোখের নয়।
অনুরূপ শব্দ, ধ্বনির অস্তিত্বের সন্ধান পেতে আমাদের কানের সাহায্য নিতে হয়, চোখ ও তক উভয়ই এখানে অপারগ।
আবার দেখুন ঘ্রাণের বেলায় উপরের সবগুলোই নিষ্ক্রিয়, একমাত্র নাক ব্যতীত তার অস্তিত্বের টের পাওয়া অসম্ভব।
মোটকথা কোনকিছুর অস্তিত্ব স্রেফ দেখা, শোনা, বা স্পর্শের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, এমনকি পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যেও নয়। যেমন মধ্যাকর্ষন শক্তি পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্য থেকে কোন ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। [১]
বরং বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে অস্তিত্ব প্রমান হতে পারে। যার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত আমরা বিনা বাক্যে মেনে নিতে বাধ্য।
অনুরূপ জ্ঞান, আকল দ্বারাও অনেক কিছুর অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়, যা চোখে, কানে, তকে উপলব্ধি করা যায় না।
আর এই জ্ঞান, আকল দ্বারাই সমগ্র সৃষ্টি জগতের স্রষ্টার অস্তিত্ব জ্ঞানী ও বিবেগবানদের মাঝে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত।
দ্বিতীয় প্রশ্নটির জবাব- জ্ঞান ও বিবেগ দ্বারা আল্লাহর অস্তিত্ব কীভাবে প্রমানিত হয়?
বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ বিজ্ঞানের কল্যাণে এটা বুঝা আমাদের জন্য অনেকাংশেই সহজ হয়ে গিয়েছে, কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এমন অনেক অভিনব তথ্য জানতে পারছি যা আমারা কল্পনাও করতাম না।
এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ইনসাআল্লাহ আমরা আরো অনেক কিছু জানতে পারবো।
এখন ধরুন আপনাকে কেউ প্রশ্ন করলো আগামী পাঁচশো বছর পর যা যা আবিস্কার হবে তার কিছু আবিষ্কার সম্পর্কে আমাকে একটু নলেজ দিন!!
আপনি নিশ্চয়ই তাকে বলবেন, ‘আগামীতে কী আবিষ্কার হবে তার সম্পর্কে কিছু বলা’ আমি কেন! কোন মানুষের পক্ষে কীভাবে সম্ভব হতে পারে!?
আমি আপনার সঙ্গে একমত, বাস্তবেই এটা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ ভবিষ্যৎ বলা মানুষের কাম্য নয়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো যেটা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় সেটা কীভাবে মুসলমানদের নিরক্ষর নবীর পক্ষে সম্ভব হলো??
তাও আবার আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার হওয়ার শতশত বছর পূর্বে, অধিকাংশই সম্পুর্ন প্রেক্ষাপটহীন জায়গায় থাকা সত্বেও!
কেননা কোরআনে এরূপ দৃষ্টান্ত একটা দু’টো নয় বরং ‘কয়েকশত’ রয়েছে।[২] তাহলে আপনার ক্ষেত্রে যেটা যুক্তির আলোকে বুঝতে পারছেন, অন্যের ক্ষেত্রে কেন সেটা নয়!!
তো আবিষ্কার হওয়ার এতশত বছর পূর্বে এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানও আবিষ্কার হওয়ার পূর্বে, এমন কে, মুহাম্মদকে সে সম্পর্কে জানিয়েছে, যে আগে থেকেই সমস্তকিছু নির্ভুলভাবে জানতো।
কী! কে হতে পারে? আকলে কিছু ধরা পরছে?
এতো, সেই সত্বা যিনি (বিজ্ঞানের আলোচ্য ক্ষেত্র) মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন। যার অস্তিত্ব প্রতিয়মান হচ্ছে জ্ঞান, আকল দ্বারা। চোখ,তক,কান, নাক এখানে অপারগ।
আরেকটু বিবেগ খাটান, আরও স্পষ্ট হবে। প্রতিটি সৃষ্টি তার স্রষ্টার নিকট পৌঁছে দেয় আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও, স্রষ্টা ছাড়া কোনকিছুর সৃষ্টি কল্পনাই করা যায় না।
যেমন ধরুন গাছ সৃষ্টি হয়েছে কোন বিচ/ফুল/পাতা কিংবা গাছেরই কোন অংশ থেকে।
আর আম গাছ সৃষ্টি হয়েছে আমগাছেরই বিচ থেকে এবং জামগাছ জাম গাছের। এটাই তো নিয়ম। আমগাছের কোন অংশ ছাড়া কি আমগাছ হওয়া সম্ভব!?
কিন্তু প্রশ্ন হলো পৃথিবী সৃষ্টির পর সর্বপ্রথম আমগাছটি কে সৃষ্টি করলো? আর কী দিয়েই বা করলো?? আর শুধু আমগাছই নয় হাজার হাজার প্রকার গাছের রোপণকারী কে?. এই আলাদা আলাদা বিচই (/ফুল/পাতা যেই গাছ যেভাবে সৃষ্টি হয়) বা কোত্থেকে আনলো??
আশ্চর্য! শুধু গাছই নয়, প্রতিটি সৃষ্টিই ঠিক এই জায়গায় এসে আটকে যাবে। এখন তো আমার একটি ধাঁধা মনে পড়ে গেল। ‘আচ্ছা ডিম আগে নাকি মুরগী আগে!?’
এখনো আপনার উপলব্ধি হচ্ছে না কে আগে!!
এখনো আপনার বিবেগ আপনাকে বলছে না যে ‘কারো সত্বার অস্তিত্ব আবশ্যকীয়’ তারপরও কি আপনি বলবেনঃ সবকিছু এমনি এমনিই হয়ে গেছে।
তাহলে শুনুন আমি তো সামান্য কিছু প্রশ্ন করেছি আরও এমন লক্ষ্য কোটি প্রশ্ন উত্থাপিত হবে, আল্লাহর অস্তিত্ব ব্যতীত যার উত্তর পাওয়া অসম্ভব। ইনশা আল্লাহ আমরা তা ধারাবাহিক ভাবে লিখে যাব।
সত্যমনা লেখক-
Robiul Islam.
সত্যমনা ডট কম__প্রশ্নোত্তর।
পড়ে খুব ভালো লাগলো। অসাধারণ আরটিক্যাল।
উত্তরমুছুন
মুছুনজাজাকাল্লাহ খাইরান। পাশে থাকবেন।
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনজাজাকাল্লাহ খাইরান। পাশে থাকবেন।
মুছুনঅসাধারণ লিখেছেন ভাই
উত্তরমুছুনমাস আল্লাহ অসাধারণ লিখনি ❤️
উত্তরমুছুন