সমকামিতার মতো একটি মানসিক রোগকে জাস্টিফাই করার লক্ষ্যে সমকামী ও সমকামীপ্রিয় লোকেদের এই আয়োজন। এটা হলো তাদের চাতুরতার পরিচয়। কিন্তু একই সাথে গোটা বিশ্বের মুখে চুনকালি।
কাল যদি সন্ত্রাসীরা মিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ফিফাকে তাদের সমর্থনে এমন কিছু করতে বলে। তাহলে আমি নিশ্চিত তারাও ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যার কথা ভাববে না। নূন খেয়ে গুণ গাইতে শুরু করবে।
কারণ বর্তমানে টাকা-পয়শা প্রভাব-প্রতিপত্তির বলে সত্যকে মিথ্যে আর মিথ্যাকে সত্যে বদলে দেয়া যায়।
বর্তমান দুনিয়া প্রভাব প্রতিপত্তি / ক্ষমতার গোলাম। ক্ষমতার মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করা যেন কোন বিষয়-ই নয়। এর প্রভাব রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি থেকে শুরু করে প্রত্যেক জায়গায় বিরাজমান।
আমেরিকা সহ সমস্ত কথিত প্রগতিশীল রাষ্ট্রগুলোর অবস্থা মূলত বারবারা গেটিংস এর এক কথায় ফুটে উঠেছে।
বিভিন্নভাবে আমেরিকার সাইকোলজি অ্যাসােসিয়েশনকে চাপ দেয়া হচ্ছিল যাতে করে দ্রুতই সমকামিতাকে মানসিক রোগের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় ৷ এটা কখনােই চিকিৎসাবিদ্যার সিদ্ধান্ত ছিল না। বােধকরি এই কারণেই এত দ্রুত সিদ্ধান্তটা এসেছে । এটা তো ছিল রাজনৈতিক চাল ।
–বারবারা গেটিংস এল-জি-বি-টি অধিকার আন্দোলনের জননী। [১]
১৯৭৩ সালে অনেকটা হুট করেই আমেরিকার সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সমকামিতাকে মানসিক রোগ ও মনোবিকৃতির তালিকা থেকে বাদ দেয়। সেই বাদ দেয়ার পিছনে যে চিকিৎসাবিদ্যার কোন হস্তক্ষেপ ছিল না বরং ছিল রাজনৈতিক চাল। সেই গোপন ইতিহাস জানাচ্ছে ‘সমকামি অধিকার আন্দোলনের জননি’ বলে খ্যাত আমেরিকান এক্টিভিস্ট বারবারা গেটিংস।
শুধু সমকামিতা নয়, গোটা সাংস্কৃতিক অধঃপতনের গোড়ায় ছিল তাদের এই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। তারা সত্য-মিথ্যা ঠিক-ভুলের বিবেচনায় নয়, বরং বিভিন্ন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এই অপসাংস্কৃতিক অবকাঠামো তৈরি হতে দিয়েছে। যাকে কিছু নাস্তিক সেকুলাররা সত্য-মিথ্যার মানদণ্ড ভেবে বসে আছে।
সত্যমনা লেখক-
Robiul Islam.
তথ্যসূত্রঃ
[১] বারবারা গেটিংসের সাক্ষাতকার, এরিক মারকাস, মেকিং গে হিস্টোরি, পৃ. ১৭৯ (হারপার কলিনস, ২০০২)
[২] ছবি ও তথ্য সংগ্রহ –’প্রগতি বাংলা’ পেইজ থেকে।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন
COMMENTS