অথচ স্বাধীনতার এই সংজ্ঞা নিজেই স্বাধীন নাই। নাস্তিক-সেক্যুদের কামাতুর দৃষ্টিভঙ্গির ফাঁদে আটকে আছে। এই নোংরা দৃষ্টিভঙ্গি চরিতার্থ করার লক্ষ্যেই তারা নারীদেরকে শিখিয়েছে নগ্নতাই স্বাধীনতা। নগ্নতাই আধুনিকতা। যার ফলে আজ গোটা পশ্চিমাবিশ্ব এই দৃষ্টিভঙ্গির শিকার।
• ফ্রান্সে বোরকা পরার জন্য একজন মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
• পুরো মুখ ঢেকে যায় এমন ‘ইসলামী পোশাক‘ নিষিদ্ধ করে আইন কার্যকর হবার প্রথম দিনে এই আটকের ঘটনা ঘটে।
এই মহিলা যদি পুরো উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বের হতো তাহলে ফ্রান্স তাকে আটক নয় সাধুবাদ জানাত। আর বলতো তুমি-ই স্বাধীন। তুমি-ই আধুনিক। কিন্তু যেই তাদের কামাতুর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাঁচতে পুরো শরীর ঢেকে বের হলো। আসামি বনে গেল। শুধু কি তাই!
• 'বোরকা নিষিদ্ধ করার আইন ভঙ্গ করলে দোষীকে ১৫০ ইউরো (প্রায় ১৩৪ স্টার্লিং পাউন্ড) জরিমানা করা হবে।' এখানেই ক্ষেন্ত না! তাকে প্রকৃত স্বাধীনতার সবক নিতে–
• 'দোষীকে ফ্রান্সের জাতীয়তা বা নাগরিক দায়িত্ববোধ নিয়ে একটি কোর্সও সম্পন্ন করতে হবে।'
এই কোর্স করলে আশা করা যায় তারা শিখে যাবে– নগ্নতাই স্বাধীনতা। নগ্নতাই আধুনিকতা।
• 'যদি কেউ কোন মহিলাকে বোরকা পরতে বাধ্য করে তাহলে তাকে আরো বেশি পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হবে, এমনকী দু‘বছর পর্যন্ত কারাদন্ডও ভোগ করতে হতে পারে।' [১]
তবে বোরকা খুলতে বাধ্য করলে তাকে সাধুবাদ জানাতে ভুলবেন না সেকুলার নাস্তিকরা। কারণ পোশাকের স্বাধীনতা কেবলই নগ্নতায় সীমাবদ্ধ।
নারীদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার্থে....
স্কুলে হিজাব পড়ে যাওয়ার কারণে ছাত্রীকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। [২]
ফ্রান্স সরকার ২০০৪ সালে সব সরকারি স্কুলে হিজাব এবং অন্য ধর্মীয় পরিচয় বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে বহু মুসলিম মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
বহু মুসলিম কিশোরীর শিক্ষাজীবনে নেমে আসে অন্ধকার। নানাভাবে ব্যঙ্গবিদ্রূপ ও প্রশ্নবাণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে মুসলিম নারীদের জীবন। [৩]
এই আইন যে কেবল সেক্যুলার রাষ্ট্রের অন্যতম ধারকবাহক ফ্রান্সের একার নয়। বরং সেক্যুলারিজম অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতার আইন যা স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
ফরাসি সরকার জানিয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতা ব্যবস্থাকে গতিশীল করা।[৪]
COMMENTS