শাব্দিকঅর্থে এর দ্বারা এটাই বোধগম্য হয়। এবং সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠায় যারা নিয়জিত তারাও আমাদের এটাই বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা কি আসলেই নিরপেক্ষ?
'ধর্মনিরপেক্ষতা' এর প্রকৃতরূপের সাথে নামের বিন্দুমাত্র মিল নেই। আর না তাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের সাথে বাস্তব সেকুলারিজমের কোন সম্পর্ক আছে!
ছিন্তাই-রাহাজানি, সন্ত্রাস-মারামারি করে- এমন একটি দলের নাম যদি রাখা হয় শান্তিকামী গোষ্ঠী। তাহলে মানুষকে যতটা ধোকা দেয়া হবে ঠিক ততটাই ধোকা দিচ্ছে সেক্যুলাররা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচিয়ে।
কেননা ধর্মপেরক্ষতাকে সাপোর্ট করা ধর্মের গলায় ছুরি মারার নামান্তর। ধর্মপেরক্ষতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধর্মের বিরোধিতা করার লক্ষ্যে। নাস্তিকতা প্রসারের লক্ষ্যে।
Encyclopedia বা বিশ্বকোষে Secularism এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে:
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ এমন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন যা সকল ধর্মবিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে।
Oxford Dictionary তে Secularism এর সংজ্ঞা:
সেকুলারিজম এমন একটি মতবাদ, যে মতবাদ মানুষের শুধুমাত্র দুনিয়ার কল্যাণ চিন্তার উপর গড়ে উঠবে। যেখানে পরকাল ও স্রষ্টায় বিশ্বাসের কোন স্থান নেই।
এবার আমরা দেখব- ধর্মনিরপেক্ষতা কি আসলেই নিরপেক্ষ!
ফ্রান্সের কাউন্সিল অব স্টেট অর্থাৎ যে প্রশাসনিক পরিষদ আইনি বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টার কাজ করে, তাদের মত হলো স্কুলে মেয়েদের হিজাব পরা ফ্রান্সের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী। [২]
মেয়েদের হিজাব পড়া শুধুমাত্র এ কারণেই 'ধর্মনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী' কারণ তা একটি ধর্মীয় নীতি।
সিনেটে ১৮ বছরের কম বয়সী মুসলিম মেয়েদের প্রকাশ্যে হিজাব পরা নিষিদ্ধের প্রস্তাব পাস হয়।
ফরাসি সরকার জানিয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতা ব্যবস্থাকে গতিশীল করা। [৩]
ধর্ম নিরপেক্ষতা ব্যবস্থাকে গতিশীল রাখতে হলে। ধর্মীয় সব নীতিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এটাই ধর্ম নিরপেক্ষতার দাবি। এরপরেও কি কেউ এটা বলার চেষ্টা করবে যে, প্রত্যেকে ধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয় ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। কিংবা ধর্মের ব্যাপারে রাষ্ট্র সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবে!
সুতরাং পুরো আরটিক্যাল পড়ে এটা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে- নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নয়, ধর্মবিদ্বেষ-ই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পরিচয়।
COMMENTS