ডারউইন ধরে নিয়ে ছিলেন, জীবাশ্ম ( fossil)এর রেকর্ড আবিস্কারের মাধ্যমে তার তত্ত্বের সঠিকতা প্রমাণিত হবে। কিন্তু বিংশ সতাব্দীর জীবাশ্ম গবেষণার ফলাফল গেলো ডারউইনবাদেরই বিরুদ্ধে।
শুধু এতটুকুই নয়, বিজ্ঞান জগতে যারা অগ্রগামী ছিলেন। যাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজো চলছে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। তারা হলেন, Louis Pasteur, Alexander Oparin, Jeffrey Bada, Fred Hoyle Ges William Philip, christian anfinsen, Charles townes, Weghner, Alexander flemming সহ আরো নোবেল পুরষ্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীরা। তারা সকলেই ডারউইনের থিওরিকে ভুল (faux) বলেছেন।
তবে এটা ডারউইনকে খাটো বা ছোট করার কিছু নয়। সব থিওরিই যে সঠিক প্রমাণিত হবে বিষয়টা এমন নয়। ইতিহাস এটা বলেও না। তাছাড়া ডারউইন নিজেই বলেছেন, যদি কোনো lntermediate fossil না পাওয়া যায় তাহলে আমার তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হবে।
কিন্তু মজার ব্যপার হলো, কিছু কট্টর নাস্তিক আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন। এই ভুল থিওরিটাকে তারা সঠিক বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।
যেখানে বিজ্ঞান এই থিওরিটাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। এবং বিজ্ঞান এখনো যার সত্যতা নিশ্চিত করেনি। সেখানে নাস্তিকপন্থীরা শুরু থেকেই বিবর্তনকে বিশ্বাস করছেন। এখনো করছেন। তারা জানেন, এই থিওরী ছেড়ে দিলে তাদের নাস্তিকতাবাদ হাওয়ায়ে মিশে যাবে।
একটি প্রোটিন অনু একটি কোষ ছাড়া এমনি এমনি তৈরি হতে পারে না। বহু সংখ্যক মিথ্যা ফসিলের কাহিনী রচনাকারী ডারউইন বাদিরা আজ পর্যন্ত একটি প্রশ্নের সদুত্তোর দিতে পারেননি। তা হলো কীভাবে একটি প্রোটিন অনু এমনি এমনি মহাজগতে সৃষ্টি হতে পারে ?
এই প্রশ্নের উত্তরে নাস্তিকরা আমাদের কাছে একটি নতুন থিওরি দাড় করায়। যার নাম "এমনি এমনি থিওরি"।
১৫০ বছর আগের বিবর্তন তত্ত্বের সময়কালে ফসিল সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান ছিল খুবই সামান্য। কারণ বিবর্তন প্রমান করতে হলে ফসিলের বয়স নির্ধারণ জরুরী, আর ফসিলের বয়স নির্ধারণের জন্য যে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় (কার্বনডেটিং ও ফ্লুরাইড টেস্ট) তার আবিষ্কার হয় কেবল ৫০ বছর আগে।
ডারউইন কোনো ফসিলের বয়স নির্ধারণ তো দূরে থাক নিজের হাতে কোনো ফসিল নেড়েচেড়েও দেখেননি। তিনি কেবল বিভিন্ন প্রাণীর ছবি এঁকে বৈশিষ্টগুলো লিপিবদ্ধ করেন। তারপর তার বিবর্তন তত্ত্বের জন্মদেন।যেটা নিয়ে ডারউইনের নিজের মনেই ছিল অজস্র উত্তরহীন প্রশ্ন।
বিবর্তন সমর্থন করে যেকটি ফসিল পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়, তার সবই পরে বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যে তত্ত্ব বিজ্ঞানের কাছ থেকেই সমর্থন পায় না, সে তত্ত্ব কিছু নাস্তিকরা হাজারো প্রতারণার ফাঁদ বাচিঁয়ে রেখেছেন আজো।
বিবর্তনের প্রমাণ হিসেবে অনেক অন্তরবর্তী কালীন ফসিলের সন্ধান পাওয়ার কথা। বিবর্তনের মাধ্যমে কীভাবে ডাইনোসর থেকে পাখির উদ্ভব হতে পারে!!
এই বিবর্তন যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে কেনো লক্ষ লক্ষ ফসিল আবিষ্কার হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত এমন কোন ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া যায়নি! যার দেহে পাখির মত ডানার লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় ?বিবর্তন লক্ষ লক্ষ বছর সময় ধরে চলে। তাই একটি প্রাণী থেকে আরেকটি প্রাণীর বিবর্তনের মাঝামাঝি সময়টাতে এমন অনেক প্রানীর অস্তিত্ব পাওয়া আবশ্যক,যেগুলোতে বিবর্তন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী উভয় সময়ের কিছু কিছু বৈশিষ্ট পাওয়া যাবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান, নাস্তিকদের এমন কোন ফসিলের সন্ধান দিতে পারেনি। যা বিবর্তন প্রমাণ করে।তাই নাস্তিকরা বাধ্য হয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন সময়। আগের স্টারফিসের ফসিলের সাথে আজকের স্টারফিসের কোনো পার্থক্য নেই।ঠিক তেমনই ৩৮০ লক্ষ বছর আগের কাকড়া এর ফসিল অবিকল আজকের কাকড়ার মতো।
প্রশ্ন জাগে; যদি ৪৯০০ লক্ষ বছরেও বিবর্তন না হয় থাকে, তাহলে বিবর্তন আর হলো কবে ?
বিবর্তন কখন শুরু হলো ?
কখন শেষ হবে ?
তা কি আজও চলছে ?
মানুষ কেন হাজার হাজার বছর পরও বিবর্তীত হচ্ছে না?
এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডারউইনবাদিরা কখনোই দিতে পারেননি। ভবিষ্যতেও পারবেন না ।
COMMENTS