তাই আমরা দেখতে পাই শতবছরের পুরানো একটা প্রশ্ন নিয়েও তারা মাতামাতি করছে। যার উত্তর হাজার বার দেয়া হয়ে গেছে। এমনকি যেই উত্তরে সে নিজেও সেটিসফাইড। তারপরও সে- জানে না এমন একজনকে খুঁজে বের করে উক্ত প্রশ্নটি করবে! কেননা তার লক্ষ্য হলো- সংশয়ে ফেলা।
নাস্তিকরা দাবি করতে চায় কোরআন মতে সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে অর্থাৎ পানিতে অস্ত যায়।
যেই আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা উক্ত দাবিটি উত্থাপন করে-
حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ مَغۡرِبَ الشَّمۡسِ وَجَدَہَا تَغۡرُبُ فِیۡ عَیۡنٍ حَمِئَۃٍ وَّوَجَدَ عِنۡدَہَا قَوۡمًا ۬ؕ قُلۡنَا یٰذَا الۡقَرۡنَیۡنِ اِمَّاۤ اَنۡ تُعَذِّبَ وَاِمَّاۤ اَنۡ تَتَّخِذَ فِیۡہِمۡ حُسۡنًا
অবশেষে তিনি (যুলকারনাইন) যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন। (আল কাহাফ - ৮৬)
লক্ষ্য করুন- যুলকারনাইন সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে এক জলাশয়ে ডুবতে দেখলেন। আয়াতের এই অংশের মাধ্যমেই নাস্তিকরা প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে, কোরআন মতে সূর্য পানিতে অস্ত যায়।
কোরআনের ভুল ধরতে গিয়ে তারা প্রায়শই চুড়ান্ত বোকামি ও মূর্খতার পরিচয় দিয়ে থাকে। এমন বোকামি ও মূর্খতা দেখে ছোট্ট একটা বাচ্চারও জানার কৌতুহল জাগবে যে, এদের মাথায় কি ঘিলু বলতে কিছু নাই।
আমরা যখন কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা সূর্যাস্তের সময় সাগর পাড়ে পৌছি তখন আমরা কী দেখতে পাই?
দেখতে পাই সূর্যটা এই সাগরের পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এই মনোরঞ্জন দৃশ্যটা এক পলক দেখার জন্য মানুষ সাগর পাড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে৷
অথচ নাস্তিকরা বলতে চাচ্ছে যে মানুষ এমন কোন দৃশ্য দেখতে পায় না। অর্থাৎ মানুষ কক্সবাজার- কুয়াকাটায় সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পায় না। কেননা সূর্য তো সাগর কিংবা নদীতে অস্ত যায় না। তাহলে কীভাবে মানুষ তা দেখতে পাবে?
অথচ আমরা সকলেই জানি, মানুষ ঠিকই দেখতে পায়- 'সূর্য পানিতে অস্ত যাচ্ছে।' যদিও বাস্তবতা এমনটা নয়। তবে মানুষ বাহ্যিক দৃষ্টিতে এমনটাই দেখতে পায়।
এখন যদি আপনি বলেন- আব্দুল্লাহ কুয়াকাটা গিয়ে সাগরের পানিতে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখেছে।
তাহলে কি এটা বলার মানে এই যে, সূর্য বাস্তবেই পানিতে অস্ত যায়! কিংবা আপনি কি সূর্যের অবস্থান সম্পর্কে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন!
আপনি তো কেবল -আব্দুল্লাহ সাগর পাড়ে গিয়ে কী দেখেছে- তা বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ কোরআনের আয়াতে যুলকারনাইন নামের একজন বাদশা তিনিও এমন একটি যায়গায় গিয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখেছিলেন। সেই বর্ণনাই আল্লাহ কোরআনে এভাবে উল্লেখ্য করেছেন- ' যখন তিনি সূর্যাস্তের সময় পঙ্কিল জলাশয়ে পৌছলেন, তখন তিনি সুর্যকে ঐ জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন।' এখানে এটা বলা হইনি যে, 'সূর্য পানিতে অস্ত যায়।' বরং এটা বলা হয়েছে যে, তিনি (বাদশা) সুর্যকে অস্ত যেতে দেখলেন।
জুলকারনাইন সূর্যকে পানিতে অস্ত যেতে দেখলেন। যেমনটা কক্সবাজারের গেলে আমরাও দেখতে পাই। এত সরল একটা বিষয়কে নিয়েও নাস্তিকরা যুগের পর যুগ প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। সহজ সরল মানুষকে কোরআন সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে। অথচ তাদেরকে হাজারবার এর উত্তর দেয়া হয়েছে। তারা মেনেও নিয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো বন্ধ করেনি। কেননা তাদের উদ্দেশ্য সত্যের নিকট পৌঁছা নয়। বরং মানুষকে সংশয়ে ফেলা।
সত্যমনা লেখক-
রবিউল ইসলাম, সত্যমনা ডট কম।
আলহামদুল্লিলাহ আল্লাহ্ র রহমতে সত্য(ইসলাম)কে সবার কাছে পৌঁছে দেন
উত্তরমুছুনদোয়া করবেন ভাই। আর ভুক্তভোগীদের নিকট পৌঁছে দিবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
মুছুন