প্রগতিশীলদের মুখোশ উন্মোচন (২)
বস্তাবন্দী এই বইগুলোর দোষ কি ছিলো, জানেন? এগুলো ইসলামিক বই, এগুলোতে কুরআন-হাদীসের কথা আছে।
উহু, শুধু এটুকু হলেও ব্যাপারটা সেবার এতোদূর গড়াতো না। সেবারও কিছু কিছু ইসলামিক প্রকাশনাকে মেলায় স্টল দেওয়া হয়, স্টল না দিলেও অন্যের স্টলে বই রাখতে দেওয়া হয়। কিন্তু এই বইগুলোর মোটাদাগে দোষ ছিলো— এই বইগুলোর মাঝে আরিফ আজাদ নামে একজনের লেখা বই আছে। যেহেতু আরিফ আজাদের বই আছে এখানে, তাই তাদেরকে স্টলও দেওয়া হয়নি এবং কোন স্টলে তার বইটা সহ সমকালীনের কোন বই রাখতেও দেওয়া হয়নি।
এই এক দোষের কারণে সেবার মেলা প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মাঠে এই বইগুলো অনেকটা সময় ধরে এভাবে অসহায়ের মতো বস্তাবন্দী হয়ে বাইরে পড়েছিলো!
এখন ২০২২ সাল। মাসটাও ফেব্রুয়ারি। পর্দা উঠেছে একুশে বইমেলারও। সময় গড়ালেও, মেলা কর্তৃপক্ষের আগের সেই আচরণ বদলায়নি একটুও, বরং তা হয়ে উঠেছে আরো ক্ষিপ্র, আরো জিঘাংসা-ময়।
আগে তো কেবল আরিফ আজাদের বইকে মেলায় অবাঞ্চিত করেছে, এবার তারা কোন ইসলামি প্রকাশনাকেই মেলায় ঠাঁই দেয়নি। স্টল তো দিলোই না, মেলার অন্য কোন স্টল ইসলামি ধারার কোন বই বিক্রি করতে পারবে না বলেও জানিয়েছে তারা। সহজ ভাষায়— চট্টগ্রামের একুশে বইমেলায় কোন ধরণের ইসলামি বই পাওয়া যাবে না এবার।
লেখক- আরিফ আজাদ।
ঠিক আছে এগিয়ে যাও
উত্তরমুছুন