ইস্যু; একাকিত্ব ও অবসাদগ্রস্ততার কারণে রিয়াজের শ্বশুরের আত্মহত্যা। ২/২/২০২২ বুধবার।
তাদের যেকোন একজনের কিংবা বাবা মায়ের সম্মিল্লিত অর্থায়নে ডে কেয়ারে আস্তে বড় বড় হয় শিশু। আর যেটুকু সময় বাচ্চাটি বাসায় থাকে, ওইটুকু সময়ের জন্য "চাইল্ড কেয়ার টেকার" রাখা আছে।
স্কুলের গণ্ডিতে "ফি মিক্সিং, আর কনসেন্ট থাকলে ডু এভরিথিং" কনসেপ্ট নিয়ে সন্তান বড় হয়ে জানতে পায় তাদের বাবা মায়ের এখনো বিয়েই হয়নি। তখন সন্তানেরা বায়না ধরে, আর্জি করে মাঝ বয়সে বাবা মায়ের বিয়ে দেয়।
আবার কারো কারো জীবনে বিয়ে বলে কোন শব্দ নেই। তারা "লিভ টুগেদার", "নারী স্বাধীনতা", আর "জরায়ুর স্বাধীনতা"য় বিশ্বাসী। তাদের সন্তানদের একজনের পিতা তার এক বয়ফ্রেন্ড, আবার আরেক জনের পিতা আরেক বয়ফ্রেন্ড।
সন্তানেরা তখন যুবক বয়সে উপনীত। নিজেদের ক্যারিয়ার আর বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ব্যাস্ত। বুড়ো বাবা মায়েদের কথা ভাববার সময় কোথায়! সমস্যা নেই সরকার তৈরি করে রেখেছে "ওল্ড কেয়ার হোম"।
আরেক প্রজাতির একটা দল আছে যারা যৌন স্বাধীনতা চায়। তারা বিয়ে, লিভ টুগেদার ভালোবাসে তবে সেটা সমলিঙ্গের সাথে। বুড়ো বয়সের অপেক্ষায় এদের থাকতে হয় না, তার আগেই হাসপাতালের বেডে দুরারোগ্য ব্যাধিতে তাদের শেষ শয্যা ত্যাগ হয়।
এটাই আমাদের স্বপ্নের পশ্চিমা দেশীয় কালচার, তাদের সুশোভিত সভ্যতা।
সে দেশের চোখ ধাঁধানো দালান দেখেছেন, চমকে দেয়া উন্নয়ন দেখেছেন, কিন্তু পঁচা গন্ধ ছড়ানো ধ্বসে যাওয়া পরিবার ব্যবস্থা দেখেন নি। ওদের বিশ্ব জয়ের হিসাব কষেছেন, কিন্তু আত্মহত্যার জরিপ দেখেন নি।
"পুকুরে নামবেন আর জলে ভিজবেন না"
এটা কি আর হয়! ওদের শিক্ষাব্যবস্থা, আচার-আচরণ, কালচার, উন্নয়ন ফলো করবেন আর সাইড ইফেক্ট নেবেন না, এটাও হয় না।
আমাদের সমাজেও জোয়ার আসতে চলেছে সমতার, সমকামিতা, লিভ টুগেদার আর আত্মহত্যার। এখনো সময় আছে সচেতন হন। নাহলে পরে আর সময় পাবেন না।
সত্যমনা লেখক-
মোরশেদুল আলম মেহরাব।
সত্যমনা ডট কম।
COMMENTS