প্রশাসনের একজন ব্যক্তিগত ভাবে টিপ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার ফলে দেশের প্রগতিশীলদের এই অবস্থা হলে গোটা রাষ্ট্র সমস্ত প্রশাসন নিয়ে হিজাব বিরোধিতা করলে কেন তাদের যায় আসে না!?
কোন নারীকে উদ্দেশ্য করে একজন পুলিশ যদি বলে 'টিপ পরছস কেন' তাহলে টিপ মাথায় নিয়ে আপনি প্রগতিশীলতা চর্চায় রাস্তায় নেমে পড়েন অথচ কোন নারীকে উদ্দেশ্য করে গোটা রাষ্ট্র যদি বলে 'হিজাব পরছস কেন' 'বোরকা খোল' তাহলে কেন হিজাব পরে বোরকা পরে রাস্তায় নামছেন না? এক্ষেত্রে আপনার প্রগতিশীলতা কেন ফুরিয়ে গেল!
অথচ বোরকা, হিজাব হলো ধর্মীয় অপরিহার্য অংশ। এখানে ধর্মীয় স্বাধীনতাও জড়িয়ে আছে। আছে সাংবিধানিক অধিকারও।
চলুন একটা দৃশ্যপট কল্পনা করা যাক-
যদি একজন পুলিশ এই ঘটনাটি না ঘটিয়ে একজন মন্ত্রী বলতো
১/ - 'টিপ পরিস কেন?' 'খোল।' তাহলে কেমন হতো!
কিংবা যদি সাধারণ কোন মন্ত্রী না হয়ে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী বলতো
২/ - টিপ পরিস কেন?' 'খোল।'
তাহলে কেমন হতো!
কিংবা যদি রাষ্ট্রীয় আইন বানিয়ে বলা হতো ৩/ - টিপ, 'পরিস কেন,' 'খোল।' তাহলে নিশ্চয়ই প্রগতিশীলরা পাগল হয়ে যেত। বিবিসি নিউজ সহ হলুদ মিডিয়াগুলো রিপোর্ট করতে করতে দিশেহারা হয়ে যেত। কেননা একজনের ব্যক্তিগত বিরূপ মন্তব্য-ই তো তাদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে!
অথচ হিজাবের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটেছে। শুধু একজন মন্ত্রী নয়, প্রধানমন্ত্রী নয়, রাষ্ট্রীয় আইন করে নারীদের বোরকা, হিজাব খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। যদিও এটি ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ২৫-এ যে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার দেয় তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তারপরও সেই প্রগতিশীল ও হলুদ মিডিয়াগুলোর তেমন কোন প্রতিক্রিয়া নেই।এটাই হলো প্রগতিশীলদের প্রকৃত রূপ।
সত্যমনা লেখক- রবিউল ইসলাম।
সত্যমনা ডট কম।
COMMENTS