'স্রষ্টা থাকার কোন প্রমাণ নেই' সুতরাং অপ্রমাণিত কোন কিছু আমি মেনে নিতে পারি না।
একজন সত্যান্বেষী নাস্তিকের উচিৎ হবে সর্বপ্রথম ('স্রষ্টা থাকার কোন প্রমাণ নেই') এক্ষেত্রে প্রমাণ বলতে সে 'কোন ধরনের' প্রমাণ তালাশ করছে সেটা নির্ধারণ করা। পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই সে বিশ্বাস করে। সেগুলো কীভাবে করে? সবগুলোই কি একইরকম প্রমাণ দ্বারা বিশ্বাস করে?
নাকি স্রষ্টার বেলাই এসে সব ধরনের প্রমাণের প্রয়োজন পরে! যদি এমনটাই হয় তাহলে বুঝতে হবে, সে নিজেই নিজেকে ধোকা দিচ্ছে।
সবকিছুর অস্তিত্ব একই কোয়ালিটির নয়। একেকটি কোয়ালিটির একেকরকম ভাবে
প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন বাতাস, ঘ্রাণ,শব্দ, এগুলো প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা কোয়ালিটি সম্পন্ন। একেকটিকে একেক ইন্দ্রীয়ের মাধ্যমে অনুভব করতে হয়। একটাকে অন্য ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করা যায় না। যেমন - ঘ্রাণকে আপনি শত চেষ্টা করেও নাক ছাড়া অন্য ইন্দ্রিয়গুলো দিয়ে অনুভব করতে পারবেন না।
এগুলো হচ্ছে ইন্দ্রিয় অনুভূত অস্তিত্ব। ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে এগুলোর প্রমাণ পাওয়া যায়। আবার এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো ইন্দ্রিয় অনুভূত নয়। অর্থাৎ অন্য কোন ভাবে সেগুলোর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হয়। যেমন- মাধ্যাকর্ষণ (Gravitation force) কে আপনি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করতে পারবেন না। আপনাকে তার এক্টিভিটি দেখে বুঝে নিতে হবে মাধ্যাকর্ষণ আছে। কোন কিছুর অস্তিত্বের প্রমাণ করার ক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার মাধ্যমগুলোকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেন দেখার মাঝে কিংবা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাঝে তাহলে মাধ্যাকর্ষণের মতো আরো অনেক কিছুরই প্রমাণ মিলবে না আপনার।
অতএব এটা স্পষ্ট যে, 'সমস্ত কিছুর অস্তিত্ব একই কোয়ালিটির নয়।'
ভালোবাসার অস্তিত্ব আপনি অনুভবের মাধ্যমে পাবেন। আপনার সন্তানের প্রতি আপনার ভালোবাসা আছে কিনা সেটা জানতে আপনাকে রকেট সাইন্টিস্ট হতে হবে না অনুভব করার ক্ষমতা থাকলেই বুঝতে পারবেন।
স্রষ্টার অস্তিত্বের অনুভূতি প্রত্যেকেটা মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। হোক সে আস্তিক কিংবা নাস্তিক। আল্লাহ এটা মানুষের মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন।
আবার ধোঁয়া দেখে আগুনের অস্তিত্ব স্বীকার করা একজন মানুষের জন্য কমন বিষয়। ঘ্রাণ শুঁকে তদুপযোগী কিছু একটা আছে এটা মেনে নেওয়া আবশ্যক। এখানে এটা বলে বসে থাকা বোকামি যে, 'তদুপযোগী কিছু একটার প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র ঘ্রাণ শুঁকেই মেনে নেওয়া যথেষ্ট নয়।' কারণ ঘ্রাণটাই মূলত 'সেই বস্তুটি আছে' এটার প্রমাণ।
আল্লাহর অস্তিত্বের বিষয়টিও এই কোয়ালিটির। অনুভব করে, এবং অনেককিছু প্রত্যক্ষ করে তার অপরিহার্য বিষয় হিসেবে আল্লাহকে মেনে নেওয়া আবশ্যক হয়। এটাকে অন্ধ বিশ্বাস বলে না। এটাকে আবশ্যকীয় বিশ্বাস বলে। যা একটি মানুষের জন্য অপরিহার্য। এজন্যই আবশ্যকীয় কর্তব্য তরক করার কারণে অবিশ্বাসীদের জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে।
"আমি অবিশ্বাসীদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছি শিকল, বেড়ি ও প্রজ্বলিত অগ্নি। ( অাদ দাহর- ৪)"
আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ আমরা বিভিন্ন আরগুমেন্টের মাধ্যমেও পেতে পারি। কসমোলজিক্যাল, অন্টোলজিক্যাল, টেলিওলোজিক্যাল, মরাল ইত্যাদি আরও অনেক আরগুমেন্টের মাধ্যমে।
যা একজন মানুষ মেনে নিতে বাধ্য। এমনকি বহু নাস্তিক বিজ্ঞানীও আস্তিক হতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু মানুষ বুঝুক আর নাইবা বুঝুক শুধু বলে যাবে 'স্রষ্টা থাকার কোন প্রমান নেই।'
সত্যমনা লেখক-
রবিউল ইসলাম।
সত্যমনা ডট কম।
যথাপোযুক্ত কথা বলেছেন। জাযাকাল্লাহ 🥀
উত্তরমুছুনজাজাকাল্লাহ খাইরান। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
মুছুনজাজাকাল্লাহ খাইরান আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
উত্তরমুছুনআপনি কি এখানে স্রষ্টা থাকার প্রমাণ দিলেন? কি বোঝালেন?
উত্তরমুছুনমানে শুধু মনে মনে কল্পনা করাটাই কি স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ?!!
এর বাইরে তো কোন যুক্তিই পেলাম না আপনার লেখায়!