খণ্ডন: যেই হাদিসগুলোতে এই বিষয়গুলো বলা হয়েছে তা মূলত রূপকার্থে বলা হয়েছে। আল্লাহর প্রথম আসমানে নেমে আসার মানে হলো আল্লাহ সেই সময়ে বান্দার দোয়া খুব বেশি কবুল করেন। তাই বান্দাকে সে সময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ সময়ের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য রূপকার্থে আল্লাহর প্রথম আসমানে নেমে আসার কথা বলা হয়েছে। কেননা
স্বশরীরে আল্লাহর নেমে আসার দ্বারা আল্লাহর শরীর থাকা আবশ্যক হচ্ছে। আর এ বিষয়টি আমাদের বিশ্বাস পরিপন্থী। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এর মতে আল্লাহর কোন আকার নেই। তিনি নিরাকার। আল্লাহ আমাদের মতো নয় যে আমরা তাকে আমাদের মতো করে চিন্তা করবো। তাছাড়া দোয়া কবুল করার জন্য আল্লাহর নিকটে আসার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি সব কিছু করতে সক্ষম। তার ক্ষমতা সর্বময় বিরাজমান।
❝ তাহলে যেখানে সব সময় দিন থাকে এমন জায়গায় ভোর রাতে যে দোয়া কবুল হওয়ার সময়টা ওরা পাবে না? মানে এতো ভালো একটা সময় ওদের মিস হয়ে গেলো না? যেখানে অন্য জায়গায় মানুষজন এই সময়ের সুযোগগুলো নিচ্ছে? ❞
দক্ষিণ মেরুতে আমেরিকার আলাস্কা, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চল এবং উত্তর মেরুতে অ্যান্ট্র্যাকটিকার মতো মেরু অঞ্চলগুলিতে অবস্থিত দেশগুলির স্বাভাবিক 12 ঘন্টার সময়কালের পরিবর্তে ছয় মাস দিন-রাত থাকে।
এই দেশগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে ভিন্ন হয়। আর এটা তো কমন বিষয় যে, কোন কিছুর নিয়ম বা হুকুম বর্ণনা করা হয় স্বাভাবিকের দিকে লক্ষ্য করে।
তাই বলে যে, বাকীদের বাদ দেয়া হবে। এমন নয়। সেই দেশগুলোতে নামাজের সময় রোজার সময় ইত্যাদির যেমন বিধান। ভোর রাতের বিধানও তাই।
অর্থাৎ তারা ঘড়ির সময় ধরে ধরে এগুলো পালন করবে৷ তাদের জন্য রাত আর দিন হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ঘড়ির সময় ধরে ধরে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে। রোজা রাখবে। ও ভোর রাতের সময় নির্বাচন করবে। বিভিন্ন ফতুয়ার কিতাব সমূহে তাদের ব্যাপারে মাসলা মাসায়েল বর্ণনা করা হয়েছে।
ফারজানা নিশু; ধন্যবাদ ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যমনা লেখক: রবিউল ইসলাম।
সত্যমনা ডট কম।
COMMENTS