পুঁচকের গল্প ৪
কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা নামবে। বিকেলের সূর্যটা অস্তমিত প্রায়। পুঁচকের বাবা-মা তড়িঘড়ি করছে। তারা পুঁচকেকে সাথে নিয়ে শাহবাগ যাবেন। রাতে মোমবাতি জ্বালাতে হবে। কারণ, এ মোমবাতি জ্বালানোর বিশেষ ফজিলত হলো__"মুছে যাক গ্লানি,ঘুছে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শূচি হোক ধরা"।
রাত হয়েগেছে। তারাও শাহবাগে হাজির হয়েছে। একের পর এক শাহবাগীরা জড়ো হচ্ছে। সবার হতে মোমবাতি। বিজ্ঞানমনস্ক
মানুষগুলোর হাতে মোমবাতি। আবার এ মোমবাতিতে আগুন জ্বাললে মুছে যাবে গ্লানি। খুবই কৌতূহল তৈরি হচ্ছে পুঁচকের পুঁচকে-মনটায়।
বাংলাদেশের খ্যাতনাম বিজ্ঞানী। যিনি বিজ্ঞান লেখক। 'টিচার অফ দ্যা নাস্তিকস' জাফর ইকবাল সাহেবও বিজ্ঞান ভিত্তিক মোমবাতি জ্বালান মাঝেমধ্যে। সব মিলিয়ে পুঁচকের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। বিজ্ঞানের এই কারিশমা আজ জানতেই হবে এমন মানসিকতা পুঁচকের।
তবে সে অনেক জিজ্ঞাসার পর জানতে পারলো এটা নিছক তাদের বিশ্বাস। এবার তার ভাবনা, হয়তো এই বিশ্বাসটাও বিজ্ঞান ভিত্তিক হবে৷ কিন্তু না...। পুঁচকে হতাশ হয়ে গেলো। যে নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। আজ সে নাস্তিকতাবাদ কুসংস্কারে ছেয়ে গেছে। নাস্তিকরাও এখন নাস্তিক্য-অন্ধ হয়ে গেছে...।
তবে কেন আজ বিজ্ঞানময় মোমবাতি প্রজ্বলন সেটা পুঁচকের এখনো অনাজা। মোমবাতি প্রজ্বলনে বিজ্ঞানের হিয়া বড় বড় সূত্র পাওয়া গেছে। পুঁচকের এমনটাই মনে হচ্ছে শাহাবাগীদের কর্মকাণ্ড দেখে। পাশে থাকা এক নাস্তিক আংকেলের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলো। তিনি জানালেন, সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ে মারা যায় অনেক মানুষ। তাদের উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করার জন্যই মূলত তাদের একত্রিত হওয়া।
ছোট মানুষ। কিছু বুঝলেও অনেক কিছু বুঝে না। সে আবিস্কার করল, আগুনে পুড়ে মানুষের দগ্ধ দেহ। ক্ষতবিক্ষত দেহের প্রতিটি অঙ্গ। প্রাণহীন দেহও পড়ে রেয়েছে অসংখ্য। এই প্রাণহীন দেহগুলোর পরীবারের জন্য দরকার সাহায্য। যারা হাসপাতালে ভর্তি তাদের জন্য প্রয়োজন রক্ত, খাবার, ঔষধ, চিকিৎসা। কিন্তু এগুলো না করে মোমবাতি জ্বালানো!!?
কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা নামবে। বিকেলের সূর্যটা অস্তমিত প্রায়। পুঁচকের বাবা-মা তড়িঘড়ি করছে। তারা পুঁচকেকে সাথে নিয়ে শাহবাগ যাবেন। রাতে মোমবাতি জ্বালাতে হবে। কারণ, এ মোমবাতি জ্বালানোর বিশেষ ফজিলত হলো__"মুছে যাক গ্লানি,ঘুছে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শূচি হোক ধরা"।
রাত হয়েগেছে। তারাও শাহবাগে হাজির হয়েছে। একের পর এক শাহবাগীরা জড়ো হচ্ছে। সবার হতে মোমবাতি। বিজ্ঞানমনস্ক
মানুষগুলোর হাতে মোমবাতি। আবার এ মোমবাতিতে আগুন জ্বাললে মুছে যাবে গ্লানি। খুবই কৌতূহল তৈরি হচ্ছে পুঁচকের পুঁচকে-মনটায়।
বাংলাদেশের খ্যাতনাম বিজ্ঞানী। যিনি বিজ্ঞান লেখক। 'টিচার অফ দ্যা নাস্তিকস' জাফর ইকবাল সাহেবও বিজ্ঞান ভিত্তিক মোমবাতি জ্বালান মাঝেমধ্যে। সব মিলিয়ে পুঁচকের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। বিজ্ঞানের এই কারিশমা আজ জানতেই হবে এমন মানসিকতা পুঁচকের।
তবে সে অনেক জিজ্ঞাসার পর জানতে পারলো এটা নিছক তাদের বিশ্বাস। এবার তার ভাবনা, হয়তো এই বিশ্বাসটাও বিজ্ঞান ভিত্তিক হবে৷ কিন্তু না...। পুঁচকে হতাশ হয়ে গেলো। যে নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। আজ সে নাস্তিকতাবাদ কুসংস্কারে ছেয়ে গেছে। নাস্তিকরাও এখন নাস্তিক্য-অন্ধ হয়ে গেছে...।
তবে কেন আজ বিজ্ঞানময় মোমবাতি প্রজ্বলন সেটা পুঁচকের এখনো অনাজা। মোমবাতি প্রজ্বলনে বিজ্ঞানের হিয়া বড় বড় সূত্র পাওয়া গেছে। পুঁচকের এমনটাই মনে হচ্ছে শাহাবাগীদের কর্মকাণ্ড দেখে। পাশে থাকা এক নাস্তিক আংকেলের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলো। তিনি জানালেন, সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ে মারা যায় অনেক মানুষ। তাদের উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করার জন্যই মূলত তাদের একত্রিত হওয়া।
ছোট মানুষ। কিছু বুঝলেও অনেক কিছু বুঝে না। সে আবিস্কার করল, আগুনে পুড়ে মানুষের দগ্ধ দেহ। ক্ষতবিক্ষত দেহের প্রতিটি অঙ্গ। প্রাণহীন দেহও পড়ে রেয়েছে অসংখ্য। এই প্রাণহীন দেহগুলোর পরীবারের জন্য দরকার সাহায্য। যারা হাসপাতালে ভর্তি তাদের জন্য প্রয়োজন রক্ত, খাবার, ঔষধ, চিকিৎসা। কিন্তু এগুলো না করে মোমবাতি জ্বালানো!!?
বাসায় ফেরার পথে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করছিলো এই কথাগুলো। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারো তার বাবা তাকে জ্ঞান দেয়া শুরু করলো। তুমি ছোট মানুষ। তোমার জ্ঞান সামান্য। তুমি এতো কিছু বুঝবে না দীপ্ত।
সত্যমনা লেখক
আহমাদ আব্দুর রাজ্জাক
Ahmad Abdur Razzak
সত্যমনা ডট কম
COMMENTS