খিলাফাতে বিশ্বাসী হওয়ায় কুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান কেন রক্তাক্ত!?
'গণতন্ত্র' সংবিধানের একটি অংশ। আবার 'ধর্মবিশ্বাস' এবং "ধর্ম পালনে স্বাধীনতা"ও সংবিধানের একটি অংশ। তদ্রূপভাবে একজন নাগরিকের " ব্যক্তিস্বাধীনতা"ও সংবিধানের একটি অংশ।
বুঝতে হবে ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধটাও ছিলো অধিকার আদায়ের যুদ্ধ। আজ যদি একজন নাগরিক তার অধিকার বঞ্চিত হয় তাহলে সেই স্বাধীনতার অর্থ কী? একজন নাগরিক অবশ্যই তার পছন্দ অপছন্দ নিয়ে লিখতে পারে। তার নিজস্বতা ব্যাক্ত করতে পারে। এটা অবশ্যই তার অধিকার।
আমার ধর্ম বিশ্বাস ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা আমাকে অবশ্যই গণতন্ত্র বিশ্বাসে বারণ করে। আমার ধর্ম আমাকে খিলাফত বিশ্বাসে বাধ্য করে।
তাহলে কেন, জোর করে আমাকে গণতন্ত্র বিশ্বাসে বাধ্য করানো হচ্ছে? আমার ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে?
গণতন্ত্র সেরেফ সংবিধানের অংশ বলে এই সুযোগে যদি কেউ গণতন্ত্র গেলানো বৈধ মনে করে। তাহলে ধর্মীয় অধিকার হরণ করার কারণে তাকে খিলাফত খাইয়ে দেওয়া আরো বড় বৈধ কাজ হবে।
মনে রাখতে হবে, খিলাফত আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ।
আমার ধর্ম যেটাকে হালাল বলে, সেটাকে হালাল হিসেবেই তুলে ধরা আমার ধর্মীয় অধিকার। আমার ধর্ম যেটাকে হারাম বলে, সেটাকে হারাম হিসেবেই চিহ্নিত করা আমার ধর্মীয় অধিকার। সেকুলার রাষ্ট্র কখনো সে অধিকার আমাকে দিতে পারি নি। পারবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমার সে অধিকার হরণ করেছে। আমার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাকে অধিকার বঞ্চিত করেছে।
একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ –
সংবিধানে থাকলেই কি সেটা মেনে নিতে হবে? সেটা বিশ্বাস করতে হবে? সেটা পালন করতে বাধ্য থাকবে? যদি তাই হয়, তাহলে 'রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম" সংবিধানে থাকা সত্যেও কিভাবে সেকুলারপন্থীরা তার বিরোধিতা করেছে বারবার????
যদি সেকুলারপন্থীরা সংবিধানে থাকা সত্যও বিরোধিতা করাটাকে বৈধতা দেয়। তাহলে তো অবশ্যই অবশ্যই গণতন্ত্রের বিরোধিতা করাও বৈধ। তাহলে কেন, আজ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে খিলাফাত ব্যবস্থার কথা ব্যক্ত করার কারণে সেকুলারপন্থীরা রক্তাক্ত করলো একজন সাধারণ নাগরিককে?
সত্যমনা লেখক
আহমাদ আব্দুর রাজ্জাক
Ahmad Abdur Razzak
সত্যমনা ডট কম
COMMENTS