ন্যাংটোইজম,সেকুলার মৌলবাদী - ১
এ সব কিছু ডিপেন্ড করে ব্যক্তির আদর্শের উপর। ব্যক্তি যখন কোনো ভালো আদর্শের ভিত্তিতে মৌলবাদী হয়। তখন তার মৌলবাদী হওয়াটাও ভালো হয়। আবার ব্যক্তি যখন কোনো খারাপ মতাদর্শের উপর মৌলবাদী হয়। তখন তার মৌলবাদী হওয়াটাও খারাপ হয়।
জিয়াংলা রিভার ভ্যালির কোনো গুহায় পোশাকাশাকহীন মানুষের বৈশিষ্ট্য ওপর ভিত্তি করে কেউ যদি বলে আমি পোশাক পড়তে চাই না। পোশাক পড়া আমার ভালো লাগে না। তাহলে এ বিষয়ে মৌলবাদী হওয়া অবশ্যই খারাপ হবে।
আবার ওয়েস্টার্ন কালচার অনুসরণ করে যদি কেউ বলে আমি উলঙ্গ থাকতে চাই। নগ্নতা আমার ভূষণ। আমার স্তনের সাইজ, আমার নিতম্বের প্রশস্ততা প্রদর্শন না করালে আমার ঘুম আসে না। ছেলেদেরকে আমার পেটের কাপড় সরিয়ে নাভি না দেখালে শরীর ছটফট করে। তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে মৌলবাদী হওয়া ভয়ঙ্কর হবে।
পৃথিবীতে আজ নারী ব্যবসা সবচেয় লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্যে অন্যতম। নারীর দেহ এখন সবচেয়ে দামী পণ্যগুলোর একটি। যদিও এসব কিছু জন্য দায়ী আজ পশ্চিমা ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা। এবং কিছু কিছু নারীবাদী সংগঠন। যাই হোক, এই নারী ব্যবসা বা নারী দেহকে পণ্য বানানোর অন্যতম প্রতিবন্ধক হলো পোশাক। নারী যদি অর্ধো ন্যাংটো না হয়ে অ্যাডের মডেল না হয় তাহলে সে অ্যাড মানুষ দেখবে না। নারী যদি সিনেমায়, চলচ্চিত্রে সব কিছু খুলতে না পারে তাহলে সে মুভি হিট খাবে না।
এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কেউ যখন মৌলবাদী হয় তাখন সে মৌলবাদী হওয়াটা ভয়ঙ্কররূপ ধারণ করে।
সম্প্রতি যারা অর্ধোলঙ্গ। ন্যাংটো। নগ্ন হওয়ার প্রতিবাদ করেছে তাদের উদ্দেশ্য মূলত এগুলোই। এরা প্রত্যেকেই একেকটা আস্ত মৌলবাদী। এরা সেকুলার মৌলবাদী।
সেকুলারিজম এদের মূল আদর্শ। এই আদর্শের ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর দাবী আছে। 'ন্যাংটোইজম' এদের অন্যতম দাবী। ন্যাংটোইজমকে বাঁচাতে পারলেই এদের ব্যবসা তুঙ্গে। নয়তো ব্যবসা জলে।
কিন্তু কিছু কিছু মাথামোটা নারীরা ওদের পাঠার বলি হয়। ওদের চাকচিক্যে ফেঁসে যায়।
সতর্ক থাকুন। একটু ভাবুন, কেন তারা আপনার কাপড় খুলতে চায়৷ কোনো বখাটে আপনার ওড়না ধরে টান দিলে আপনি নিশ্চয়ই অপছন্দ করবেন যদি আকনি সভ্য মেয়ে হয়ে থাকেন। অথচ আপনি নিজেই ওড়না ছাড়া জামা, ব্লাউজ ছাড়া শাড়ী পড়ছেন পাবলিক প্লেসে। আবার সে অধিকারো চাচ্ছেন। একটু ভাবুন...
COMMENTS