ইসলাম বিদ্বেষী পাঠ্যপুস্তকে কী আছে কী নেই? (৮)
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বই। পৃ:১১৫। ষষ্ঠ শ্রেণী। |
ডারউইনিজম। এটা নিয়ে আর কি বলবো! একটা অপ্রমাণিত নাস্তিকীয় বিশ্বাসকে যুগ যুগ ধরে পাঠ্যপুস্তকে পোষা হচ্ছে এই আকাঙ্ক্ষায় যে একদিন তা প্রমাণিত হবেই।
তাদের এই স্বপ্ন কেয়ামত পর্যন্ত স্বপ্নই থেকে যাবে। কেননা মিথ্যা কখনো প্রমাণিত হয় না। আমাদের কাছে অবাক লাগে একটা বিতর্কিত তত্ত্ব যা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝেও প্রচুর মতানৈক্য রয়েছে। প্রচুর বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক বিবর্তনবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশ বিবর্তনবাদকে তাদের পাঠ্যপুস্তক থেকে ছুড়ে ফেলেছে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে (Florida, Illinois, Kentucky, Mississippi, Oklahoma) বিবর্তনবাদ অনেক আগেই পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। [১] অথচ আমাদের বাংলাদেশে ডারউইনিজমকে সমাধার করতে করতে স্কুলের বাচ্চাদের বইতেও ঢুকিয়ে দিয়েছে। তদুপরি এটাকে ঢালাওভাবে বাস্তব, সত্য বলে প্রচার করছে। কতবড় ডাহা মিথ্যাকথা! একটা অপমানিত বিতর্কিত তত্ত্বকে এভাবে প্রচার প্রসার করার পিছনে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের মানুষকে ধর্মহীন করা নাস্তিক বানানো। যে কারণে বিজ্ঞান বইয়ের পর এখন ইতিহাসের বইতেও ডারউইনের এই মিথ্যা মতবাদ শিখানো হচ্ছে।
রবিউল ইসলাম।
লেখক ও গবেষক, সত্যমনা ব্লগ।
[১] Reference: https://www.physicsforums.com/threads/the-5-states-that-banned-evolution-in-classrooms.15820/
COMMENTS