পশুকাম বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

পারলে জবাব দে (৪)

নাস্তিক-মুক্তমনারা মানুষকে পশুর থেকে আলাদা কোনো শ্রেষ্ঠত্ব দেয় না। তারা মানুষকে পশুই মনে করে। তবে জাস্ট এতটুকু বলে– মানুষ হলো উন্নত পশু। একটু আধুনিক পশু। তাদের কাছে মানুষ আর পশুর মাঝে ততখানি পার্থক্য যতখানি পার্থক্য সাদাকালো ও রঙিন টিভির মাঝে। এমন মানসিকতার লোক সমাজের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকারক। তারা দেখতে মানুষ হলেও মন-মগজে পশুর চেয়েও জঘন্য। তাদের চিন্তা ভাবনা একটা পশুকেও হার মানায়। এক কথায় তারা পশুর ন্যায় যা ইচ্ছা তাই করতে চায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পশুরচেও একধাপ এগিয়ে।

তারাই আল্লাহ প্রদত্ত স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ককে বিকৃতি ঘটাতে ঘটাতে বিকৃত যৌনাচারের রূপ দিয়েছে। প্রকৃতি বিরুদ্ধ সমাজ বিধ্বংসী প্রথা অজাচার, সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডারের আবিষ্কার করেছে। এতেও খ্যান্ত হয়নি! সব সীমা পেরিয়ে 'পশুর সাথে যৌনাচার' পশুকামের অধিকার দাবি করছে। 

❝ পশুকামীদের সংগঠন ZETA-র চেয়ারম্যান Michael Kiok জানিয়েছে, ‘স্রেফ একটা নীতি-মূল্যবোধ কখনো আইন হতে পারে না। পশুকামের বিরুদ্ধে আইন করার চেষ্টা করলে আমরাও আইনী লড়াই চালাবো’। [১]

তাদের সামনে কোন নীতি নৈতিকতার মানদণ্ড নাই। সামাজ রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের ভেলু নাই। জন্তু জানোয়ারের ন্যায় মন যা চায় তা-ই করার বৈধতা চায়। তবে জন্তু-জানোয়ারের সামাজিক মূল্যবোধ না থাকলেও অন্তত স্রষ্টাকর্তৃক কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে, এর বিরুদ্ধাচারণ তারা করে না বা করতে পারে না। তারা কখনো মানুষকে দেখে যৌন ক্ষুধার লালা ঝরায় না। তারাও জানে এটা প্রকৃতি বিরুদ্ধ, নিয়ম বহির্ভূত। জানেনা কেবল নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত স্বাধীনতাকামীরা। 

কানাডার সুপ্রীম কোর্ট বলেছে, পশুকে লিঙ্গ প্রবেশ না করলে সেটার সাথে অন্যান্য যৌনকর্ম আইনত অবৈধ নয়। [২]

সভ্য দেশের মানুষের সভ্যতা দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন কানাডাতেও এগুলো হয়! হ্যাঁ ভাই কানাডাতেই এগুলো হয়৷ স্বাধীনতাকামীরা আরও কী কী করতে পারে তা আপনার ধারণাতেও নেই।

ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া ও হাঙ্গেরিতে পশুকে আহত না করে যৌনসঙ্গম বৈধ। [৩]

আমেরিকার Hawaii, Kentucky, Nevada, New Mexico, Ohio, Texas, Vermont, West Virginia,Wyoming এবং the District of Columbia তে পশুমৈথুন আইনত বৈধ। [৪]

ব্রাজিল, মেক্সিকো ও থাইল্যান্ডেও জঘন্য এই পশুকাম বৈধ। [৫]

তারা কন্সেন্ট ভিত্তিক যৌনাচারের পক্ষপাতি। কন্সেন্ট থাকলে, যার সাথে ইচ্ছা তার সাথেই যৌন আচরণ করা যাবে। কন্সেন্ট না থাকলে তা হবে ধর্ষণ। যদিও সে বিবাহিত স্ত্রী হয়। অতএব প্রশ্ন হলো যেই পশুর সাথে স্বাধীনতাকামীরা যৌনাচার করতে চাচ্ছে সে পশুর কি কন্সেন্ট নেয়া হয়েছে? উত্তর যদি 'না' হয়! তাহলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেই তারা কি ধর্ষণ করছে না!? তারা কি ধর্ষক নয়? 

নির্লজ্জের মতো তারা বলে– স্রেফ একটা নীতি-মূল্যবোধ কখনো আইন হতে পারে না। আইন হতে হবে তাদের নোংরা মানসিক চাহিদা অনুসারে। যে মানসিকতা তাদেরকে পশুর সাথে যৌনাচার করতে উদ্ভুদ্ধ করে সে মানসিকতাকে আমরা বলছি আধুনিকতা। যে মানুষগুলো স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে নোংরা স্বার্থোদ্বারে ব্যস্ত থাকে, আমরা তাদেরকে বলছি সভ্য মানুষ। যে দেশগুলো তদেরকে রিপ্রেজেন্ট করে আমরা সেগুলোকে বলছি সভ্য দেশ। 

আমাদের লজ্জায় মরে যাওয়া উচিত। নীতি-মূল্যবোধের অনুসারী না হয়ে আমরা হয়েছি স্বাধীনতাকামী পশুর অনুসারী। 

রবিউল ইসলাম। 

লেখক ও গবেষক সত্যমনা ব্লগ। 

আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন