যাইহোক এবার আসি বিচ্ছিন্ন কয়েকটা প্রসঙ্গে: এই ডিবেটে আসাদ নূর কয়েকটা কৌশল খাটিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে।
(১) তার টার্গেট ছিল মডারেটরের কোনো একটা ভুল বের করে মডারেশনকে বিতর্কিত করা এবং মডারেটরকে তার দিকে দুর্বল করে দেয়া। মডারেটরকে বিতর্কিত করার মধ্যে কয়েকটি ফায়দা আছে। শর্ত বহির্ভূত নিজের কাজগুলোকে জাস্টিফাই করার সুযোগ পাওয়া যায়, মডারেটরকে মানসিক ভাবে তার প্রতি দুর্বল করে দেয়া যায়। যেমনটা আমরা দেখেছি পরবর্তীতে মডারেটর আসাদ নূরকে পুরো লাইভে সমীহ করে চলেছেন। এছাড়াও ডিবেটে হেরে গেলে তো অযুহাত দাঁড় করানোই যায় যে, মডারেটরের কারণে আমি হেরেছি।
(২) ব্রাদার রাহুলের তুমি সম্বোধন ছিল আসাদ নূরের জন্য আশির্বাদ সরূপ। ব্রাদার রাহুল নিজেই বলেছেন যে তুমি সম্বোধন হলো তাদের এলাকার প্রচলিত সম্বোধন যাতে তিনি নিজেও অভ্যস্ত। কিন্তু আসাদ নূরের পক্ষে এটা অস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। সে উক্ত অভ্যস্ত সম্বোধনকে পুঁজি করে ব্রাদার রাহুলের লেকচারের মধ্যে কয়েকবার ছেদ ধরাতে সক্ষম হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে, ব্রাদার রাহুল 1st - Rebuttle এর সময় যে জোশ নিয়ে শুরু করেছিলো আপত্তির পর তাতে অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটেছে। সেদিক লক্ষ্য করে আসাদ নূর কয়েকবার এই অভ্যাসকে এট্যাক করেছে।
(৩) চ্যালেঞ্জ। লাইভের শর্তগুলোর মধ্যে একটা শর্ত ছিল প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করতে পারা। আমার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই শর্তটা আসাদ স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেই জুড়ে দিয়েছে। কারণ এটা ছিল তার একটা অস্ত্র। সে আগেই ঠিক করে রেখেছিল যে, এই অস্ত্র দিয়ে সে ব্রাদার রাহুলের লেকচারে ইন্টারফেয়ার করবে, তার লেকচারে ছেদ ধরাবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই শর্তের সমালোচনা করছি কারণ এই ধরনের শর্ত লেকচারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
অবশেষে যদি কেউ প্রশ্ন করে ডিবেটে কে হেরেছে, কে জিতেছে? তাহলে আমি বলবো: যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে আমি বিশ্লেষণ করতে পারবো কে হেরেছে কে জিতেছে। কিন্তু আমি তার প্রয়োজন অনুভব করছি না। কেননা কে কেমন পারফর্ম করেছে তা দর্শকদের রিভিউতে সুস্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। কিছু নাস্তিকরাও স্বীকার করেছে। এমনকি নাস্তিক আসাদ নূর নিজেও মেনে নিয়েছে তার পরাজয়। যা তার কিছু লেখাতে সুস্পষ্ট।
রবিউল ইসলাম।
লেখক, নাস্তিকদের প্রতি ওপেন চ্যালেঞ্জ।
ভাই লেখাই আছে সত্য মানা যাইহোক আমরটাই সত্য
উত্তরমুছুন