কয়েকটা দৃশ্যপট কল্পনা করুন;
২. হাত পা টিপলো, জুতা পরিয়ে দিলো, সারাদিন হাতের ইশারায় নাচলো। অবশেষে মাহাজনের এসব ফাই-ফরমাস খেটে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরে সেক্যু স্বামী তার স্ত্রীকে বললো- শোনো বউ! চাকুরির মতো সম্মানের কাজ আর হয় না! তুমি যে কী মিস করতাছো তা তুমি নিজেই জানো না। ইসলাম তোমাদেরকে এতো বড় সম্মান থেকে ফিরিয়ে রাখছে। তোমাদের অধিকার হরণ করছে। সেক্যু স্বামীর এমন আবেগঘন কথা শুনে স্ত্রী ঠিক করলো আগামী মাস থেকেই সে তার স্বামীর সাথে মাহাজনের হাত পা টিপে, জুতা পরিয়ে দিয়ে, হাতের ইশারায় নেচে উক্ত বড় সম্মান অর্জন করবে।
৩. গ্রীষ্মকালে কাঠফাটা রোদে যখন মাথার মগজ রৌদ্রের তীব্রতায় টগবগ করে তখন ধান ক্ষেত পরিচর্যার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো একজনকে যেতে হবে। কারণ ক্ষেতের ফসল স্বামী স্ত্রী উভয়েরই সম্পদ। উভয়ই তা ভোগ করবে। কিন্তু সমস্যা হলো উভয়ের মধ্যে কেউ যেতে চাচ্ছে না। একদা তারা এক হুজুরের কাছে জানতে চাইলে হুজুর বললেন: স্বামীকেই এই কষ্ট স্বীকার করতে হবে, স্ত্রীকে নয়। কথা শুনে এক স্যেকু বলে উঠলো- দেখছো হুজুররা কেমন নারী বিদ্বেষী! নারীদেরকে ক্ষেতে যেতে দিলো না।
উপসংহার: নারীরা কাজ করতে পারবেনা এমনটা ইসলাম বলে না। বরং নারীরাও পর্দা মেইনটেইন করে কাজ করতে পারবে। তবে কাজ করার ভার আল্লাহ পুরুষদের উপর দিয়েছেন। পুরুষরা বাহিরের ঝায় ঝামেলা আঞ্জাম দিবে আর নারীরা ঘরের রাজরানি হয়ে থাকবে। একটা কথা মনে রাখবেন, সর্বদা কাজ করতে পারার মধ্যে অধিকার থাকে না। কখনো কখনো না করার মধ্যেও অধিকার থাকে। যেমন গোলামি করার মধ্যে অধিকার নেই বরং না করার মধ্যে রয়েছে অধিকার।
রবিউল ইসলাম।
লেখক ও গবেষক সত্যমনা ব্লগ।
জাযাকাল্লাহ খাইরান
উত্তরমুছুন