এর আগের পর্বেই আমরা দেখেছি হুমায়ুন আজাদ স্যারের একটু, না না, বেশ খানিকটা ‘মেয়েদোষ’ আছে। আর সেই দোষটাকে তার বিশ্বাস –নাস্তিকতা– আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র তার দোষটাকে গুণের চোখে দেখে না বিধায় তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন-
আমাদের সমাজে ছোঁয়া খুবই নিষিদ্ধ ব্যাপার ; আমরা খুব কম মানুষকেই , ছুঁতে পারি , খুব কম মানুষকেই ছোঁয়ার অধিকার আছে আমাদের । ছোঁয়া এখানে পাপ ; কোনাে নারী যদি কোনাে পুরুষকে ছোয় , কোনাে পুরুষ যদি কোনাে নারীকে ছোয় , তাতে সূর্য খসে পড়ে না , আকাশে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায় না ; কিন্তু আমরা মনে করি মহাজগত তাতে খেপে উঠছে । শরীর খুবই আপত্তিকর আমাদের কাছে, একে অজস্র পাপের উৎস ভেবে আমরা ভয় পাই। ….. কিন্তু আমি ছুঁয়েছি , ছোঁয়া পেয়েছি , তাতে চাঁদতারা খসে পড়ে নি । ছুঁয়ে ও ছোঁয়া পেয়ে আমি যে – সুখ পেয়েছি, তা আর কিছুতে পাইনি।
বই: আমার অবিশ্বাস।(পৃঃ ১৬) হুমায়ুন আজাদ।
জী স্যার; আমরা বুঝেছি যে, এই সুখ আপনি আর কোথাও পাননি। তাই শেষমেশ নাস্তিকতাকে বেছে নিয়েছেন। কারণ নাস্তিকতাই একমাত্র বিশ্বাস। যা আপনাকে তা করতে বাধা দেয়নি। কিন্তু ধর্মও তো আপনাকে ছোঁয়ার অনুমতি দিয়েছে। একজন মেয়েকে বিয়ে করে সম্মান দিয়ে তারপর তাকে ছোন; সমস্যা কোথায়? আর আপনি তো বিয়ে করেছেন-ই লতিফা মেডামকে। তাহলে সমস্যা কোথায়? তারপরও কেন আপনি এই আক্ষেপ করেছেন।
ও, বুঝতে পেরেছি। আপনার একজন যথেষ্ট নয়। আরও প্রয়োজন। তাহলে আরও বিয়ে করুন। দুইটা, তিনটা, চারটা পর্যন্ত আপনার অনুমতি আছে। আশাকরি এর চেয়ে বেশি দরকার হবে না। তবুও কেন আপনি সন্তুষ্ট নন।
ও… আপনি কীভাবে একটার বেশি বিয়ে করবেন! আপনি তো আবার নারীবাদী। একটার বেশি বিয়ের পক্ষে তো আপনারা নন। একজনের বেশি নারীর দায়িত্ব নেয়া আপনাদের ধর্মে পাপ। কিন্তু এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে আপনি কীভাবে একাধিক নারীর ছোঁয়া কামনা করেন! এতে কি আপনার বিশ্বাস লঙ্ঘন হবে না!?
আপনি হয়তো বলবেন, দায়িত্ব নেয়া ছাড়া একাধিক মেয়েকে ছোঁয়া আপনার ধর্মে জায়েজ।
তাহলে তো আমাকে বলতেই হয়। কী চমৎকার নারী অধিকার! বিয়ে করে সম্মানও দেয়া লাগলো না, সারাজীবনের ভরনপোষণের দায়িত্বও নেয়া লাগলো না। একেবারে– নো টেনশন ডু ফুর্তি।
যাইহোক হুমায়ুন আজাদ তার লেখাতে একটুখানি যুক্তি দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে, ছোয়া কেন নিষিদ্ধ হব; কেন পাপ হবে ;
কেননা ছুলে তো চাঁদ তারা খসে পড়ে না। সূর্য খসে পড়ে না। আকাশে হুলস্থুলও শুরু হয়ে যায় না। তাহলে কেন ছুলে পাপ হবে? এর উত্তরে শুধু আমি আরেকটা প্রশ্ন করে বলবো–
স্যার ; কাউকে ধর্ষণ করলেও তো চাঁদ তারা খসে পড়ে না। সূর্য খসে পড়ে না। না আকাশে হুলস্থুল শুরু হয়। তাই বলে কি চাঁদ তারা খসে না পড়ার উপর ভিত্তি করে ধর্ষণ করা যাবে!
সত্যমনা লেখক-
Robiul Islam.
sotto-mona.com__নাস্তিকতার মূলোৎপাটন।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন
নাস্তিক্ব্যদের দলিল এতটাই দুর্বল যে মৃদু হওয়াতেই উড়ে যায়।
উত্তরমুছুনমাকড়সার জালের মতো
মুছুন..
ওনার "আমার অবিশ্বাস" বইটা পড়েসিলাম।এতো বাজে লজিক😑।ভালোই বিনোদন 🙂।
উত্তরমুছুনঠিকই বলেছেন। আমিও পড়েছি...
মুছুনমাশাল্লাহ ভাই,এগিয়ে যান,দোআ রইলো
উত্তরমুছুন